তামান্না বেগম, ব’য়স ১৯ বছর। মূ’ল বাড়ি সিলেটের দক্ষিণ সুরমার ফুলদি গ্রামে। দুই মাস আগে কাপড়ের ব্যবসায়ী আল-মামুনের সাথে বিয়ে হয়েছিলো তার। কিন্তু বিয়ের দুই মাসের মাথায় লা’শ হলেন নববধূ তামান্না।
স্বজনরা জানিয়েছেন, তামান্নার শ’রীরে আ’ঘাতের পর আ’ঘাতের চিহ্ন রয়েছে। গ’লায় কালো দাগ। এতেই স্পষ্ট হয় স্বা’মী আল-মামুনই স্ত্রী তামান্নাকে খু’ন করে পা’লিয়ে গেছে। ঘ’টনার পর থেকে প’লাতক রয়েছে আল-মামুন। তার মোবাইলফোনও বন্ধ। গতকাল বিকালে সিলেটের কোতোয়ালি
থানা পু’লিশ ভাড়া করা বাসা থেকে তামান্নার ম’রদে’হ উ’দ্ধার করেছে। তামান্নার মূ’ল বাড়ি সিলেটের দক্ষিণ সুরমার ফুলদি গ্রামে। বর্তমানে তামান্নার পরিবারের সদস্যরা সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজে’লা সদরের এমসি একাডেমির পার্শ্ববর্তী এলাকায় বসবাস করেন।
তার স্বা’মী আল-মামুনের মূ’ল বাড়ি বরিশাল জে’লার হোগ’লার চরে। সে সিলেট নগরীরবারুতখানা এলাকায় বসবাস করতো। ভোটার আইডিতে তার বর্তমান ঠিকানা হিসেবে লেখা রয়েছে বারুতখানা এলাকায়। সে সিলেট নগরীর জিন্দাবাজারের আল-মারজান কমপ্লেক্সের কাপড়ের ব্যবসায়ী।
নি’হত তামান্নার পরিবারের সদস্যরা জানান, আল-মামুনের স’ঙ্গে তামান্না বেগমের পূর্বের কোনো পরিচয় ছিল না। পারিবারিক ভাবে তাদের বিয়ের কথাবার্তা হয়। এবং গত ৩০শে সেপ্টেম্বর গোলাপগঞ্জের খান কমিউনিটি সেন্টারে তাদের বিয়ে হয়।
বিয়ের আগেই নগরীর উত্তর কাজিটুলার বিহঙ্গ ৪/এ বাসার দুতলা ভাড়া নেয় আল-মামুন। ভাড়া নেয়ার পর সে ওই বাসাতেই বিয়ের আয়োজন করে। এবং বিয়ের পর তামান্নাকে নিয়ে ওই বাসাতেই উঠে।
গতকাল সোমবার সকালে তামান্না বেগম ও তার স্বা’মীর কোনো সাড়া-শব্দ না পেয়ে আশেপাশের মানুষজনের স’ন্দে’হ হয়। এ সময় তারা এসে দেখেন বাসার দরোজা বাইরে থেকে তালাবদ্ধ।দুপুরের পর তারা বি’ষয়টি জানান স্থানীয় কাউন্সিলর রাশেদ আহম’দ সহ এলাকার মানুষকে।
কাউন্সিলর পু’লিশকে খবর দিলে কোতোয়ালি থানা পু’লিশ এসে দরোজা ভে’ঙে ভে’তরে ঢুকে। এ সময় তারা দেখেন শয়ন কক্ষের খাটের উপর পড়ে আছে তামান্নার দে’হ। স্বা’মী আল-মামুনের কোনো খোঁজ নেই। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পু’লিশ স্বা’মীর খোঁজ করলেও পাননি। এমনকি তার মোবাইলফোনও বন্ধ। তার আত্মীয়স্বজনদেরও মোবাইলফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তামান্নার স্বজনরা লা’শ দেখেই কা’ন্নায় ভে’ঙে পড়েন।