পাবনার ঈশ্বরদীতে বাংলাদেশ রেলওয়ে স’রকারি নাজিম উদ্দীন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের নাজিম উদ্দিনের নাম কালো কালি দিয়ে মুছে দিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা।
মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে ঈশ্বরদী পৌর সদরের শহরের পোস্ট মোড় থেকে বিশাল বি’ক্ষো’ভ মিছিল নিয়ে ছাত্রলীগ নেতা কর্মীরা এ নামটি মুছে দেন। বাংলা ভাষার পরিবর্তে উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার প্রস্তাবকারী পাকিস্তানের তৎকালীন
প্রধানমন্ত্রী ছিলেন খাজা নাজিম উদ্দিন। মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় ঈশ্বরদীতে পোস্ট অফিস মোড় থেকে কুষ্টিয়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙার প্র’তিবাদে ও জ’ড়িতদের শা’স্তির দাবিতে মিছিল বের হয়।
পরে আয়োজিত সমাবেশ থেকে পাবনার ঈশ্বরদীতে রেলওয়ে নাজিমউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের নামকরণ পরিবর্তনের দাবি জানানো হয়। ওই সমাবেশে বক্তারা অ’ভিযোগ করে বলেন,
এখনও পাকিস্তানি প্রেতাত্মা খাজা নাজিম উদ্দিনের নোং’রা স্মৃ’তির স্বাক্ষর হিসেবে রেলওয়ে নাজিম উদ্দিন স্কুলটি নিয়ে ঈশ্বরদী তথা বাংলাদেশকে দু’র্নাম বয়ে বেড়াতে হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে ছাত্রলীগ এই অ’পমান ও দু’র্নাম স’হ্য করবে না।
তারা বলেন, জাতির জনকের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রিয় বাংলাদেশে কোনো পাকিস্তানি প্রেতাত্মার সাক্ষী থাকতে পারে না। পরে মিছিলটি শহর প্রদক্ষিণ করে লোকো রোড রেলওয়ে নাজিম উদ্দিন স্কুলের সামনে বি’ক্ষো’ভ ও পথসভা করে।
পথসভা চলাকালে বি’ক্ষু’ব্ধ নেতাকর্মীরা জাতির ক’লঙ্ক অধ্যায় মুছে দেয়ার অংশ হিসেবে স্কুলের প্রধান ফটক থেকে নাজিম উদ্দিন নামটি কালো রঙ দিয়ে মুছে দেন। উপজে’লা ছাত্রলীগের সভাপতি রাকিবুল হাসান রনির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সুমন দাসের সঞ্চালনায়
এতে বক্তব্য দেন পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম শাওন, পৗর ছাত্রলীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম শাওন, ঈশ্বরদী স’রকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার মো. আরমান প্রমুখ। এ সময় পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ড ও ৭টি ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, ১৯৪৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান গণপরিষদে উর্দূর পাশাপাশি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি তুললে এর প্রবল বি’রোধিতা করেন পূর্ব বাংলার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিম উদ্দীন। সে বছরের ২১ মার্চ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল মোহাম্ম’দ আলী জিন্নাহ ঘোষণা দেন ‘উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা।’