মেয়রের ভোট প্রকাশ্যে মা’রতে নির্দেশ দিয়েছেন কুষ্টিয়ার মিরপুর পৌরসভার আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী এনামূ’ল হক। তিনি একটি নির্বাচনী সভায় সমর্থক ও ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, কাউন্সিলরের ভোট দুটি গো’পন কক্ষে গিয়ে আর মেয়রের ভোটটি সবার সামনেই দিতে হবে।
এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ক্লিপ ফাঁ’স হওয়ার পর তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘ’টনায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই পৌরসভার স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী আরিফুল ইসলাম।ফাঁ’স হওয়া ভিডিও ক্লিপে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এনামূ’ল হককে নির্বাচনী সভায় ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলতে শোনা যায়,
‘আপনি যদি ওপেন ভোট দেন, তাহলে তো কেউ নি’ষেধ করতে পারবে না। কারণ আপনাদের মধ্যে যাতে দূরত্ব না বাড়ে। ভোট আপনিও দিতে চেয়েছেন আরেকজনও দিতে চেয়েছে।এখন আরেকজন যদি ভিতরে ঢুকে ভোট দেয় তাহলে মনে স’ন্দে’হ দেখা দেবে। মনে হবে ও হয়তো নৌকায় ভোট দেয়নি।
তাই আপনারা সব ওপেন করে দেন। তাহলে আর একে অপরের প্রতি স’ন্দে’হ থাকবে না। আপনারা কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত ম’হিলা কাউন্সিলরের ভোট ভিতরে গিয়ে দেবেন আর এই ভোটটি (মেয়র) সরাসরি সামনে দেবেন।
১.২২ মিনিটের ওই ভিডিও ক্লিপে আওয়ামীগের মেয়র প্রার্থী এনামূ’ল হককে আরও বলতে শোনা যায়, ‘ভোট ভ’য়ের কোন ব্যাপার না, আমি যদি ওপেন সিল মে’রে দিই তাহলে কারো কিছু বলার নেই। সবাই নৌকায় সিল মে’রে দেবেন প্রকাশ্যে, কোন সমস্যা নাই, যেখানে সবাই একতরফা ভোট দেবে।
সেখানে কেন আপনি স’ন্দে’হের মধ্যে থাকবেন। তাই কাউন্সিলরের দুটি গো’পন কক্ষে আর মেয়রের ভোটটি প্রকাশ্যে দেবেন, কাউকে ভ’য় পাওয়ার কিছু নেই। এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এনামূ’ল হকের ব্যক্তিগত ফোনে কল করা হলে তিনি তা বার বার কে’টে দিয়েছেন।
তাই তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও মিরপুর উপজে’লা নির্বাহী কর্মকর্তা লিংক বিশ্বাস ঘ’টনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মেয়র প্রার্থী এনামূ’ল হককে ডেকে এনে সতর্ক করা হয়েছে। তাকে এ ধরনের বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। নির্বাচনী বিধি ল’ঙ্ঘনের পরও কেন ওই প্রার্থীর বি’রুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, এমন প্রশ্ন এড়িয়ে যান এই রিটার্নিং অফিসার।