সাপ সবসময়ই এক রহস্যময় জাতি। পুরাকালে অনেক উপকথাতেই সাপের বিভিন্ন অলৌকিক ক্ষমতার পরিচয় পাওয়া গেছে। বলা হয় সাপ সম্মোহন ক্ষমতার সাহায্যে জীবজন্তুকে বশ করে শিকার ধরে।“এমনকি হিন্দু ধর্মে সাপকে দেবী মা মনসার বাহন হিসেবে পূজা করা হয় ।
এমনকি মহাদেবের গলাতেও দেখা যায় বাসুকিনাগ কে। হিন্দু ধর্মের স্বয়ং বিষ্ণু শায়িত রয়েছেন শেষ নাগের কোলে, স্বয়ং মা মনসার বাহন হল সাপ। সুতরাং সাপকে যে পুরাকালে অনেক বড় আসনে বসানো হয়েছিল সেই সম্পর্কে কোন সন্দেহ নেই।
কিন্তু বর্তমানে সাপকে অলৌকিক ক্ষমতার, অধিকারী হিসেবে না মানা হলেও তার বিষকে ভয় করেন সবাই। কিন্তু পৃথিবীতে বিষধর ও বিষহীন, দুই ধরনের সাপই রয়েছে। সাপ এমনিতেই নিরীহ প্রাণী, দৃষ্টি শক্তি দুর্বল।
সাপের অনুভূতি ক্ষমতা প্রবল হওয়ায় সে একমাত্র তার মাধ্যমে নিজের রক্ষা করে এবং শিকার ধরে। এহেন অবস্থায় সাপ একমাত্র ভয় পেলে বা আত্মরক্ষার জন্যই কাউকে ছোবল মারতে থাকে। কিন্তু মানুষ না বুঝেই বহু সাপকে মেরে ফেলেন।
এজন্যই বর্তমানে তৈরি হয়েছে বহু রেস্কিউ টিম, সর্প রক্ষকরা এগিয়ে এসেছেন সাপকে বাঁচানোর কাজে। সর্প রক্ষক মির্জা মহাম্মদ আরিফ কে আমরা সকলেই চিনি। তার বিভিন্ন দুঃসাহসিক ভিডিওগুলি তার চ্যানেল থেকে সবসময় হয় ভাইরাল।
বিশেষ করে মানুষের বাসগৃহে যদি কখনো সাপ ঢুকে পড়ে, সেটি বিষধর না বিষহীন সেটি বিচার করার আগেই তাকে মেরে ফেলে।
সেক্ষেত্রে আরিফ সেই সব সাপদের বাঁচিয়ে তাদের সংরক্ষণ করেন,এবং নিরাপদ আশ্রয়ে ছেড়ে দেন।
এমনকি তার একটি ভিডিওতে দেখা গেছিল, একটি গর্ভবতী সাপ জালে আটকে গেছে। এমনকি জালটি তার দেহে কেটে বসে গেছে।
আরিফ সেই সাপটিকে উদ্ধার করেন, তাকে জল দিয়ে প্রথমে তাকে সুস্থ করেন।
এরপর তার ক্ষতস্থানে ওষুধ লাগিয়ে দেন, ধীরে ধীরে সাপটি সুস্থ হয়। সম্প্রতি তার একটি ভিডিওতে তিনি এই বিষয়ে নানা কথা বলেন। তিনি অন্যান্য সর্প রক্ষকদের নিয়েও কথা বলেন। এমনকি তিনি এও বলেন, অনেকেই অরন্যের আইন ভঙ্গ করছে বর্তমানে, যদিও ভালো মানুষও রয়েছেন।
এই বিষয়ে তিনি তার এক বন্ধুর কথাও তুলে ধরেন। এই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, তিনি তার সংরক্ষণ করা সাপগুলিকে অরণ্যে ছেড়ে দিচ্ছেন। সাপ গুলি স্বাধীনতা পেয়ে নিজেরা আনন্দের সাথে জঙ্গলে চলে যাচ্ছে।
যদিও কিছু সাপ তাকে ছোবল মারার চেষ্টা করছিল, পরে তারাও জঙ্গলের দিকে চলে যায়। এই দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হয়ে গেছেন মানুষ।
আরিফ আমাদের শিখিয়েছেন পৃথিবীর প্রত্যেকটি জীবের বাঁচার অধিকার আছে।
প্রকৃতির এসব বিভিন্ন লীলা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে, আমাদের চোখের সামনে হাতের মধ্যে মোবাইলে আমরা দেখতে পাই। পৃথিবীর দিকে দিকে ঘটে চলেছে এ রকম নানা অদ্ভুত ঘটনা সব কিছুই আমরা জানতে পারছি, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে।
শুধু এগুলি নয়, এছাড়াও নানা রকম শিক্ষামূলক ভিডিওর মাধ্যমে আমরা শিক্ষা নিতে পারি নিজেদের জীবনে। সোশ্যাল মিডিয়া এবং তার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের জানাই কুর্নিশ।