জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির নবনির্বাচিত সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণের সঙ্গে দীর্ঘ ১২/১৩ বছর পরিবারের সঙ্গে কোনো কথা হয় না এবং সে বাড়িতেও আসে না বলে জানিয়েছেন তার বড় ভাই ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মুস্তাফিজুল ইসলাম।
ছাত্রদল সভাপতির পরিবারের সদস্যরা বিএনপির প্রধান প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। এমনকি শ্রাবণের বাবা ও এক ভাই বর্তমানে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিও।
আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে ছাত্রদলের সভাপতি হওয়ায় দেশজুড়ে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। তবে এসব নিয়ে মাথাব্যথা নেই শ্রাবণের। বরং পরিবারের সদস্যদের আওয়ামী লীগ ছেড়ে বিএনপির রাজনীতিতে আসার আহ্বান জানিয়েছেন ছাত্রদলের নবনির্বাচিত সভাপতি।
এক সাক্ষাৎকারে শ্রাবণ বলেন, তাদের (পরিবারের সদস্যদের) জাতীয়তাবাদী দলের পতাকা তলে আসার জন্য বলেছি। একইসঙ্গে দেশের আওয়ামী লীগ পরিবারের ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছেও আমার একই আহ্বান থাকবে যে, দেশের গণতন্ত্রের স্বার্থে, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দলের সাথে থাকুন, দেশ গঠনে কাজ করুন।
শ্রাবণের গ্রামের বাড়ি যশোরের কেশবপুর উপজেলার চিংড়া গ্রামে। ২০০৩ সালে কেশবপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে ভর্তি হন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের আবাসিক ছাত্র শ্রাবণ কিছুদিনের মধ্যেই ছাত্রদল কর্মী হিসেবে হল ও বিভাগের সহপাঠীদের মধ্যে পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন।
এরপরই পরিবার থেকে ধীরে ধীরে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন শ্রাবণ। তিনি বলেন, গত ১০ বছর আমি আমার পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন। আমার পরিবার ভিন্ন মতাদর্শের রাজনীতিকে বিশ্বাস করে। স্বাভাবিকভাবেই তাদের সাথে আমার আদর্শিক দূরত্ব রয়েছে।
আমার পরিবার হয়তো মনে করেছে- আমার সাথে যোগাযোগ রাখলে তাদের রাজনীতিতে ক্ষতি হতে পারে। তাই তারা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে। এটা শুধু আমার পরিবার না, এটা পুরো দেশের চিত্র। একদম তৃণমূল পর্যন্ত দেশকে বিভক্ত করা হয়েছে। ঘরে ঘরে কোন্দল ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ছাত্রদলের নবনির্বাচিত সভাপতি আরও বলেন, আমার পরিবার যেহেতু আওয়ামী লীগ করে, তাই তাদের চরিত্রও আওয়ামী লীগের বাইরে কিছু হবে না। তারা যে আমাকে অস্বীকার করবেন, এটাই তো স্বাভাবিক।
বাবা-মা’র সাথে আমি থাকতে পারিনা। তবে আদর্শিক কারণে আমি গর্বিত। সংগঠনের কারণে আমার পরিবার বিসর্জন দিতে হয়েছে। দল আমার সেই আত্মত্যাগের মূল্যায়ন করেছে।
শ্রাবণের গ্রামের বাড়ি যশোরের কেশবপুর উপজেলার চিংড়া গ্রামে। ২০০৩ সালে কেশবপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে ভর্তি হন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের আবাসিক ছাত্র শ্রাবণ কিছুদিনের মধ্যেই ছাত্রদল কর্মী হিসেবে হল ও বিভাগের সহপাঠীদের মধ্যে পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন।
এরপরই পরিবার থেকে ধীরে ধীরে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন শ্রাবণ। তিনি বলেন, গত ১০ বছর আমি আমার পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন। আমার পরিবার ভিন্ন মতাদর্শের রাজনীতিকে বিশ্বাস করে। স্বাভাবিকভাবেই তাদের সাথে আমার আদর্শিক দূরত্ব রয়েছে।
আমার পরিবার হয়তো মনে করেছে- আমার সাথে যোগাযোগ রাখলে তাদের রাজনীতিতে ক্ষতি হতে পারে। তাই তারা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে। এটা শুধু আমার পরিবার না, এটা পুরো দেশের চিত্র। একদম তৃণমূল পর্যন্ত দেশকে বিভক্ত করা হয়েছে। ঘরে ঘরে কোন্দল ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ছাত্রদলের নবনির্বাচিত সভাপতি আরও বলেন, আমার পরিবার যেহেতু আওয়ামী লীগ করে, তাই তাদের চরিত্রও আওয়ামী লীগের বাইরে কিছু হবে না। তারা যে আমাকে অস্বীকার করবেন, এটাই তো স্বাভাবিক।